top of page
Search

আবরার হত্যা: বুয়েট ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

  • somonhossen87
  • Oct 9, 2019
  • 2 min read

ree


সোমবার রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হলে এক ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে বেশিরভাগই বুয়েটে ছাত্রলীগের নেতা।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ. সোহরাব হোসেন জানিয়েছেন গ্রেফতার সবাইকে ডিবি অফিসে রাখা হয়েছে।

তাদের আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বুয়েট ছাত্রলীগের বেশ কজনকে বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি।

আবরারের বাবা গতরাতে এই ঘটনায় চকবাজার থানায় যে মামলা করেছেন তাতে ১৯ জনকে আসামী দেখানো হয়েছে। যারা সবাই শেরেবাংলা হলেরই ছাত্র।

আবরারের মরদেহ দাফনের জন্য কুষ্টিয়ায় তার বাড়িতে পৌঁছেছে।

ঐ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।

নিহত ছাত্রের নাম আবরার ফাহাদ। তিনি ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন বিবিসিকে জানান, সোমবার ভোরে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে একজন ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে তারা।

সোহরাব হোসেন জানান, "আমরা ধারণা করছি রাত দুইটা থেকে আড়াইটার দিকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করেছি ভোরে।"

মি. সোহরাব হোসেন জানান, নিহতের পায়ের উপরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।

ঐ ছাত্র মারা যাওয়ার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে শুরুতে বুয়েটের ছাত্রলীগের দুই নেতাকে আটক করা হয় বলে বিবিসি বাংলাকে নিশ্চিত করেন সোহরাব হোসেন।

"বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল এবং যুগ্ম সম্পাদক ফুয়াদকে আটক করা হয়েছে",জানান মি. হোসেন।

এর কিছুক্ষণ পর হল থেকে বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অনিক সরকার এবং ক্রীড়া সম্পাদক মিফতাহুলইসলাম জিয়নকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেন মি. হোসেন।

মি. হোসেন জানান পরবর্তীতে ডিবি পুলিশ হল থেকে আরো দু'জনকে আটক করে, কিন্তু ঐ দু'জনের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শেরে বাংলা হলের এক ছাত্র - যিনি আবরারের সাথে এই বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন - বিবিসিকে জানান রবিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে একই বর্ষের কয়েকজন ছাত্র আবরারকে ডেকে নিয়ে যান।

এরপর আনুমানিক রাত ২টার দিকে সিঁড়িতে আবরারকে পড়ে থাকতে দেখেন তারা। সেসময় তার শরীরে বেশকিছু আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানান তিনি।

শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করে।

আবাসিক হলের ভেতরে হত্যার ঘটনা ঘটায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনেকেই নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের খবর পাওয়া গিয়েছে।


 
 
 

Recent Posts

See All

Comments


bottom of page